アパレル輸出国バングラデシュ 〜アパレル輸出の歴史〜

バングラデシュは世界2位のアパレル輸出国!

Bangladesh is the world’s second-largest apparel exporter! বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ!

衣服を購入するときに、生産国に注目するでしょうか?工業品や工芸品では「メイドインジャパン」が高品質として世界中で高評価を得ており、これ自体が信頼の証です。この「信頼」を商品や企業、国家として得るためには、長年の実績が欠かせません。単に商品の品質だけでなく、安定した生産能力や物流、支払い能力、さらには販売先での評価も大切な要素だからです。

2000年代には、衣服の多くが「メイドインチャイナ」でした。これは、1970年代から80年代にかけて中国に多くの企業が工場を構えた結果です。しかし、中国国内の賃金上昇により生産コストも増加すると、ベトナムが成長し、現在ではバングラデシュが注目されています。現在も中国の輸出シェアは約30%ですが、「チャイナ+1」の流れから、バングラデシュとベトナムがシェアを拡大しています。

2023年アパレル輸出シェア
1位:中国 – 世界のアパレル輸出の約31.7%を占め、圧倒的なリーダー​
2位:バングラデシュ – 世界シェア7.9%で、欧米向けの低価格製品が主力​
3位:ベトナム – 6.1%のシェアで、特にアメリカとEU市場に強い​
4位:トルコ – 高品質と技術系製品でEU市場を中心に活躍​
5位:インド – 手工芸品や高級生地が評価され、欧米向けの供給国​

ZARAやH&Mといった欧州の企業、ユニクロやしまむらなど日本企業もバングラデシュから衣服を輸入しています。それでは、バングラデシュが今の地位を築くまでの流れを見ていきましょう。


アパレル輸出の始まり:1970年代〜1980年代

  • 1970年代: バングラデシュは1971年の独立後、経済基盤が脆弱な中で産業の発展を模索しました。1974年、アメリカの多繊維協定(MFA)が施行され、貿易障壁が緩和されてアパレル産業への参入機会が増加します。
  • 1980年代: 韓国の大手企業が工場を設立し、縫製技術がバングラデシュに移転。労働力の安さを活かし、アパレル産業が急成長し始めました。

成長期:1990年代〜2000年代前半

  • 1990年代: 輸出加工区(EPZ)の設立が進み、EUやアメリカ市場向けの低価格アパレル製品が急拡大しました。1995年のWTO設立により貿易が活発化し、アパレル輸出はさらに拡大しました。
  • 2000年代前半: バングラデシュは「世界の工場」として輸出量を増加。環境問題や労働者の権利保護にも取り組み、女性の社会進出にも貢献するようになります。

現在のバングラデシュのアパレル産業:2010年代〜2020年代

  • 2010年代: EUや米国への輸出記録を更新し、特に低価格・量産の競争力でファストファッション向け生産拠点として成長。2013年のラナ・プラザビル崩壊事故を機に、労働環境改善の動きが強化されました。
  • 2020年代: 持続可能なファッション需要の高まりに応え、グリーンファクトリーの導入や高品質製品への移行を推進。パンデミック後は新市場や高付加価値商品へのシフトが進んでいます。

このような流れで、バングラデシュは低コストと安定した品質を武器にアパレル輸出国としての地位を築き、現在に至っています。

今後の展開
現在、バングラデシュも賃金が上昇しつつある中、アパレル産業はコスト競争から脱却し、高付加価値の製品へとシフトが求められています。長年培った品質と信頼を武器に、低価格・大量生産から「高品質・持続可能性」へと移行し、新たな成長が期待されています。

ありがとうございました!

英語版:

Do you pay attention to the country of origin when buying clothes? In the case of industrial or handcrafted goods, ‘Made in Japan’ is recognized worldwide as high quality and represents a mark of trust. To gain this ‘trust’ as a product, a company, or even a country, a long history of achievements is essential. This involves not only the quality of the product itself but also stable production, reliable logistics, payment capabilities, and a positive reputation in the market.

In the 2000s, most clothing carried the ‘Made in China’ label, thanks to a wave of factory investments in China from the 1970s to the 1980s. However, as wages and production costs rose in China, Vietnam gained prominence, and now Bangladesh is in the spotlight. While China still holds about a 30% share of apparel exports, the ‘China +1’ strategy has allowed Bangladesh and Vietnam to increase their market share.

Apparel Export Share in 2023:
1st: China – Dominating with approximately 31.7% of the global market.
2nd: Bangladesh – Holding a 7.9% share, focusing on low-cost products for Europe and the US.
3rd: Vietnam – With 6.1% of the market, especially strong in the US and EU markets.
4th: Turkey – Known for high-quality, technical products, mainly for the EU market.
5th: India – Valued for handicrafts and premium fabrics, primarily supplying Western markets.

European companies like ZARA, H&M, and Japanese brands like Uniqlo and Shimamura also import clothing from Bangladesh. Let’s take a closer look at how Bangladesh achieved its current position.

The Beginning of Apparel Exports: 1970s–1980s
1970s: After gaining independence in 1971, Bangladesh sought to develop its economy. The US introduced the Multi-Fiber Arrangement (MFA) in 1974, reducing trade barriers and increasing market access for apparel.
1980s: Major Korean firms set up factories in Bangladesh, transferring garment production skills and leading to rapid growth in apparel exports.

Growth Period: 1990s–Early 2000s
1990s: Export Processing Zones (EPZs) attracted investments and boosted exports of low-cost apparel to the EU and US markets. The establishment of the WTO in 1995 further promoted trade.
Early 2000s: Bangladesh strengthened its role as the ‘world’s factory,’ expanding exports and addressing environmental and labor rights concerns, while also promoting women’s participation in the workforce.

Current State of Bangladesh’s Apparel Industry: 2010s–2020s
2010s: Bangladesh continued breaking export records to the EU and the US, particularly in fast-fashion. The Rana Plaza disaster in 2013 underscored the need for improved labor conditions.
2020s: In response to growing demand for sustainable fashion, Bangladesh has shifted to green factories and higher-quality products, exploring new markets and higher-value products post-pandemic.

Through these developments, Bangladesh has secured its place as a major apparel exporter by leveraging low costs and stable quality.

Future Prospects
With wages rising in Bangladesh, the apparel industry faces the need to shift from low-cost competition to higher-value products. By capitalizing on its longstanding reputation for quality and trust, the industry is expected to transition from ‘low-cost, high-volume’ to ‘high-quality, sustainable’ growth.”


ベンガル語:

“আপনি কি পোশাক কেনার সময় উৎপাদন দেশটি লক্ষ্য করেন? শিল্পজাত বা হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে, ‘মেড ইন জাপান’ বিশ্বব্যাপী উচ্চমানের প্রতীক হিসেবে প্রশংসিত হয়, যা বিশ্বস্ততার চিহ্ন বহন করে। পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা একটি দেশ হিসেবে এই ‘বিশ্বাস’ অর্জন করতে দীর্ঘ বছরের সাফল্য অপরিহার্য। পণ্যের মান ছাড়াও, স্থিতিশীল উৎপাদন ক্ষমতা, নির্ভরযোগ্য লজিস্টিকস, অর্থপ্রদানের সামর্থ্য এবং বাজারে ইতিবাচক খ্যাতি দরকার।

২০০০ দশকে, বেশিরভাগ পোশাকেই ‘মেড ইন চায়না’ লেবেল লাগানো ছিল, যা ১৯৭০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশকে চীনে কারখানা বিনিয়োগের ফলে ঘটেছে। তবে, চীনে মজুরি এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেলে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। চীন এখনো প্রায় ৩০% শেয়ার ধরে রাখলেও, ‘চায়না +১’ কৌশলের ফলে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম তাদের শেয়ার বাড়াতে পেরেছে।

২০২৩ সালে পোশাক রপ্তানি শেয়ার:
১ম: চীন – প্রায় ৩১.৭% শেয়ার নিয়ে বিশ্বে প্রথম স্থান।
২য়: বাংলাদেশ – ৭.৯% শেয়ার নিয়ে, ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে কম খরচের পোশাক সরবরাহ করছে।
৩য়: ভিয়েতনাম – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে থেকে ৬.১% শেয়ার ধরে রেখেছে।
৪র্থ: তুরস্ক – উচ্চমানের ও প্রযুক্তিগত পণ্য দিয়ে ইইউ বাজারে শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে।
৫ম: ভারত – হস্তশিল্প ও উন্নত মানের কাপড়ের জন্য প্রশংসিত, প্রধানত পশ্চিমা বাজারের জন্য।

ZARA, H&M এবং ইউনিক্লোর মতো ইউরোপীয় এবং জাপানি ব্র্যান্ডগুলোও বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে। তাহলে, বাংলাদেশ কীভাবে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছালো, তা দেখে নেওয়া যাক।

পোশাক রপ্তানির শুরু: ১৯৭০–১৯৮০ দশক
১৯৭০ দশক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৪ সালে মাল্টি-ফাইবার এগ্রিমেন্ট (MFA) প্রবর্তন করলে পোশাক শিল্পে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়।
১৯৮০ দশক: দক্ষিণ কোরিয়ার বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করে, সেলাই দক্ষতার স্থানান্তর ঘটে এবং পোশাক রপ্তানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

উন্নয়নের সময়কাল: ১৯৯০–২০০০ এর শুরুর দশক
১৯৯০ দশক: এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (EPZ) স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় এবং ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে কম খরচের পোশাক সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। ১৯৯৫ সালে WTO গঠনের ফলে বাণিজ্য বাড়ে।
২০০০ দশকের শুরু: বাংলাদেশ তার ‘বিশ্বের কারখানা’ হিসেবে ভূমিকা জোরদার করে, রপ্তানি বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকারের সচেতনতা বাড়ে। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প: ২০১০–২০২০ দশক
২০১০ দশক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকায় রেকর্ড রপ্তানিতে, বিশেষত কম খরচে দ্রুত উৎপাদন প্রতিযোগিতায় গুরুত্ব পায়। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বংসের ঘটনা শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়ন বাড়ায়।
২০২০ দশক: টেকসই ফ্যাশনের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে, বাংলাদেশ গ্রিন ফ্যাক্টরি এবং উচ্চমানের পণ্যের দিকে মনোনিবেশ করছে।

এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ কম খরচ এবং স্থিতিশীল গুণমানকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
বর্তমানে, বাংলাদেশেও মজুরি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং পোশাক শিল্পকে এখন কম খরচের প্রতিযোগিতা থেকে উচ্চ মূল্যবান পণ্যে রূপান্তর করতে হবে। বহু বছরের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অর্জিত গুণমান এবং বিশ্বাসকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগিয়ে, কম খরচের উৎপাদন থেকে ‘উচ্চ গুণমান ও টেকসই’ বৃদ্ধির দিকে অগ্রসর হওয়া প্রত্যাশিত।”

上部へスクロール